রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের একার নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০২২ সময়ঃ ৮:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫২ অপরাহ্ণ

জাতীয় প্রতিবেদক

‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের একার নয়’- বখা গুলো বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রোববার সকালে সিলেট নগরীর ধোপাদিঘিরপাড়ের হাফিজ কমপ্লেক্সে  আল খায়ের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে শুধু বাংলাদেশের একার কাজ না- বরঞ্চ বিশ্বের মোড়ল হিসেবে পরিচিত দেশগুলোরও এ বিষয়ে দায়িত্ব আছে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। আর এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে।

ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার শুরু করেছে, এর সমাধানও তাদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। মন্ত্রী সমালোচকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গাদের পেছনে প্রতি বছর মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে। বন্ধুরাষ্ট্রগুলোও সাহায্য করছে, তবে সবচেয়ে বেশি করছে বাংলাদেশ। তারপরও কিছু লোক সমালোচনা করে। তাদের নিজেদের কিছু করার মুরোদ নাই, কিন্তু খুঁত বের করায় ওস্তাদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা কয়েকদিন পরে পরে আমাদের দেশে আসে। সত্তর দশকে এসেছে, আশির দশকে, নব্বইয়ের দশকে এসেছে। পরবর্তীতে মিয়ানমার সরকার আলাপ আলোচনার মধ্যদিয়ে তাদের নিয়েও গেছে। তবে এবারে সংখ্যাটা অনেক বেশি। একেবারে এগারো লাখ। তারা (মিয়ানমার) কিন্তু কখনোই বলেনি, এদেরকে নেবে না। আমরা তাদের বলেছি, তোমরা নিয়ে যাও। তারা বলছে, নেব। আমরা বলেছি, এদের নিয়ে তোমরা নিরাপত্তা দেবে। তারা বলছে, দেবে। আমরা বলেছি, তোমাদের দেশে এরা যেন স্বেচ্ছায় যেতে চায়, সেই ব্যবস্থা করো। বলছে, করবো। সবকিছুতেই রাজি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পাঁচ বছর পার হয়েছে, একটা লোকও নেয়নি। একটা রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। তবে আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি- দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক। আমরা এমনকি আদালতেও গেছি।

মোমেন বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিশ্ব মোড়লদের বলেছি- রাখাইনে যেখানে রোহিঙ্গারা ছিল, সেখানে আপনারা নিরাপদ জোন তৈরি করুন। আপানারা চাইলে পারবেন। কিন্তু উনারা মুখে বলে, কিন্তু সেই ধরনের আন্তরিকতায় কিছুটা ঘাটতি আছে। তবে আমি সবসময় আশাবাদী, তারা তাদের দেশে ফেরত যাবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা নতুন একটা প্রকল্প নিয়েছি। সব যদি নাও যেতে পারে, কিছু লোককে তারা অন্য দেশে পাঠাবে। আমাদের দেশ খুবই ঘনবসিতপূর্ণ। প্রতি বর্গমাইলে আমেরিকায় মাত্র ৪০ জন ও ইউরোপে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ জন লোক বাস করে। পৃথিবীটা আল্লাহর তৈরি, এখানে সব মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে। তাই আমরা তাদের বলেছি- আপনারা কিছু লোক নিয়ে যান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার তারেক মাহমুদ সজীবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G